By Kazi Sadia Islam Roza
বিশ্বের সেরা এবং সর্বাধিক পরিচিত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের নতুন স্মার্ট ডিভাইস ‘গুগল হোম’।ওজনে হালকা, আকারে ছোট ওয়্যারলেস ইন্টেলিজেন্ট স্পিকার। শুধুমাত্র ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমেই কাজ করে গুগল হোম। যে কোন কমান্ড দেওয়ার আগে আপনাকে ‘ওকে গুগল’ বলে শুরু করতে হবে , তাকে জানাতে হবে আপনি কি চান!
যদি মনে হয় ইউটিউবে ভিডিও দেখবেন বা গুগল প্লে মিউজিকে গান শুনবেন বা জেনে নিবেন আজকের ওয়েদার আপডেট সে নির্দেশনাটিই গুগল হোমকে দিতে হবে। বাকি কাজ গুগল হোমই করবে। যে কাজটি হয়তো করতে হলে আগে ফোনে টাইপ করে, সার্চ করে করতে হতো সে কাজটি এখন মুখের কমান্ডেই হবে।
গুগলের এই ডিভাইস বাজারে আসার সাথে সাথেই টেক-প্রেমীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় আলোচনার ঝড়। অ্যাপেল, অ্যামাজন আরো আগেই তাদের ইন্টেলিজেন্ট সার্ভার আর স্পিকার নিয়ে এসেছে বাজারে, গুগল হোম সেই তুলনায় একেবারেই নতুন। তবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুগলের ব্যবহার বেশি হওয়ায় গুগল হোম-কেই পছন্দের তালিকায় এগিয়ে রাখছেন অনেকে।
গুগল হোম আপনার নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে, সেই সঙ্গে দৈনন্দিন ছোট ছোট তথ্য সংগ্রহ করে আপনার প্রয়োজন আর অপ্রোজনের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে পারবে। রাস্তার ট্রাফিকের কী অবস্থা, আজকে বিশেষ কোনো কাজ আছে কি না বা আজ কোনো বিশেষ দিবস কি না আপনার একটি কমান্ডেই তা জানিয়ে দিতে প্রস্তুত এই ডিভাইস।
গুগল হোমের সাহায্যে আপনার বাসায় থাকা অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইস গুলোকেও সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। যেমন আপনার বাসায় থাকা স্মার্ট টিভিতে কোন ভিডিও দেখতে চান সেটি গুগল হোমকে জানিয়ে দিন বা এসি’র টেম্পারেচারটি বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিন, লাইট বন্ধ করে দিতে বলুন বা হালকা আলো জ্বালিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিন। যদিও এই সব গুলো সুবিধা পেতে আপনার বাসার অন্যান্য জিনিস গুলো-তেও ‘স্মার্ট’ টেকলজির ব্যবহার থাকতে হবে।
গুগল হোম নিয়ে ব্যবহারকারীরা এখনো পর্যন্ত বেশ সন্তুষ্ট। যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটির পরিপূর্ন ব্যবহার অনেক অংশেই সম্ভব না কারন আমাদের দেশের ইন্টারনেট স্পিড, ঘরের অন্যান্য দৈনন্দিন ব্যবহৃত যন্ত্র গুলো বেশির ভাগ সময়ই ম্যানুয়ালি কাজ করে। দুই মাস হয়েছে ডিভাইসটি ব্যবহার করছেন ব্যাংকে কর্মরত সামিয়া, তিনি জানান, “আমার বাচ্চাদের আবদারেই প্রথম ডিভাইসটি কিনেছিলাম। আমি যেহেতু সারাদিনই বাসায় থাকি না, গুগল হোম থাকায় ওরা বেশ মজা পায়। এটা ওটা জিজ্ঞেস করে কৌতুহল মেটায় আবার আমিও জানতে পারি ওরা কখন কি করছে। খাবার, ঔষধ এগুলো ওরা যেন ঠিক সময় খায় এটা মাথায় রেখে আমি রিমাইন্ডার দিয়ে রাখি।”
গুগল হোম- ৩ ধরনের ভিন্ন ডিজাইনে বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে ২টি মডেল। গুগল হোম ও গুগল হোম মিনি।
দেশে যেহেতু গুগলের কোন অফিশিয়াল স্টোর নেই বাংলাদেশে তাই গুগল হোম বিক্রি হচ্ছে নানা অন-লাইন শপে। দারাজ, পিকাবু থেকে ঘরে বসে অর্ডার করতে পারেন অথবা গ্যাজেটস এন্ড গিয়ার-এর মত টেক শপ থেকে কিনতে পারেন।
বর্তমানে গুগল হোমের বাংলাদেশী মূল্য ১১,০০০ টাকা। গুগল হোম মিনি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে। বাসার ওয়াই-ফাই রাউটারের সাথে কানেক্ট করে নিলে সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন গুগল হোম।