By Sadia Islam Brishti
বাসার সবচাইতে ছোট্ট সদস্যের ঘরটা আর সব ঘরের চাইতে যেন একদম আলাদা! রঙ, প্যাটার্ন আর নতুন সব আইডিয়া- সবমিলিয়ে বড়দের উৎসাহের যেন কমতি নেই। মারমেইড থাকবে, নাকি বিশাল কোন গাড়ি, ছাদ থেকে সিম্বা ঝুলে থাকবে, নাকি ছড়িয়ে থাকবে ফুল- কল্পনা থাকবে আকাশছোঁয়া! শিশুমনের কল্পনা, সেটা ছোঁয়া যাবে তো? বার্জার থাকতে চিন্তা কী! দেখে নিন শিশুর ঘর রাঙাতে মজাদার আর চোখ ধাঁধানো কিছু ইলিউশন। সাথে ছোট্ট কিছু টিপস তো থাকছেই!
খোলামেলা আর আলোয় ভরা একটা ঘর কে না চায়! শিশুর ছোট্ট ঘরটিকে দেখতে আরও অনেক বড় করে তুলতে পারেন আপনি দেয়ালে আয়না ঝুলিয়ে। আয়নায় পাশের দেয়ালের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠলে ঘরটিকে তুলনামূলকভাবে বেশি বড় দেখাবে!
মেঝেতে কার্পেট ব্যবহার করতে চান? রঙিন এবং একরঙা কার্পেট বিছিয়ে দিন মেঝেতে। শিশুরা উজ্জ্বল রঙ পছন্দ করে। তার পছন্দের রঙটিই বেছে নিন।
আপনার সন্তানের ঘরের জানালা ঠিক কতটা বড়? পর্দাটা জানালার একটু উপরে ঝুলিয়ে নিন। অর্থ্যাৎ, অনেকেই জানালা যেখান থেকে শুরু হয়েছে সেখান থেকেই পর্দা ঝোলালেও আপনি পর্দা ঝোলানোর রডটিকে ছাদের আরও কাছাকাছি বসান। এতে করে জানালা দেখতে বড় মনে হবে। ফলে ঘরটাকে দেখতে আরও বড় লাগবে!
দেয়ালে, ছাদে বা আসবাবপত্রে রঙ দিয়ে পাখি , ফুল, একটা গাছ কিংবা আপনার সন্তানের পছন্দের চরিত্রটিকে এঁকে দিতে পারেন। নির্দিষ্ট কোন থিম ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ঘরটি অনেক বেশি প্রাণবন্ত দেখাবে।
ঘরের রঙ যদি একটু গাঢ় ঘরানার হয়, সেক্ষেত্রে যেকোন ঘরকে দেখতে অনেক ছোট মনে হয়। শিশুর ঘরের দেয়ালে নানারকম ইলিউশন বা চরিত্র আঁকুন। তবে দেয়ালের মূল রঙ হিসেবে বেছে নিন হালকা কোন রঙ
ছোট্ট শিশু ছন্দে ছন্দে ছড়া পড়বে, গান গাইবে, অ আ ক খ পড়া শিখবে- কেমন লাগছে ভাবতে? এখন আপনি ঘরের দেয়ালে চার লাইনের ছড়া বা অক্ষর লিখে দিতে পারেন। সাথে একটা ঘুড়ি, কিংবা একটা বেলুন। আপনার শিশুকে তাহলে আর বই পরানোর জন্য ধকল পোহাতে হবে না। সে নিজ থেকেই পড়বে, গাইবে, শিখবে!
শিশুর ঘরটিকে আরেকটু সুন্দর করে সাজাতে-
১। লম্বাকৃতির শোকেস এবং খাটের নিচে ড্রয়ার ইত্যাদি ঘরে রাখুন। খেলা হয়ে গেলে নিজের খেলনাগুলো সেখানে রেখে দিতে পারবে সে। ফলে ঘর অগোছালো হবে না। বেশ খোলামেলা জায়গা পাওয়া যাবে।
২। রঙ শুধু ঘরের দেয়ালে নয়, ছাদেও ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে দেয়ালের রঙটিই ছাদে রাখুন। তবে যেন সেটা হালকা হয়। যদি ভিন্ন কোন রঙও রাখতে হয়, সেক্ষেত্রেও ব্যবহার করুন হালকা কোন রঙ। এতে করে পুরো ঘরটিকে অনেক বেশি প্রশস্ত এবং লম্বা দেখাবে।
৩। ঘরে রাখুন চকমকে সব জিনিস। একটা ছোট্ট বাড়ি, রঙিন ফল, মাছ বা অন্যান্য আকৃতির বালিশ- সবকিছুতে ভিন্নতা রাখুন। ঘরের বিভিন্ন জিনিসে ভিন্নতা থাকায় শিশু ভালোবাসবে নিজের ঘরকে!
৪। ঘরের দেয়ালে খুব বেশি প্যাটার্ন রাখবেন না। এতে করে সেটা শিশুর মনে একঘেয়েমির জন্ম দেবে।
ছেলেমানুষী চিন্তাগুলোকে ছড়িয়ে দিতে, লাল বা কমলা রঙে দেয়াল রাঙাতে কার না ভালো লাগে? আপনার ঘরে হয়তো সেটা মানাবে না। তবে নানারকম থিম দিয়ে আপনার শিশুর ঘরে এই সব রঙ আর চরিত্র ব্যবহার করতে পারেন আপনি। প্রয়োজনে পাশে রাখতে পারেন আপনার শিশুকে, সাহায্য নিতে পারেন তার কল্পনার রাজ্যের। আর যাই হোক, ঘরটা তো তারই!