By Kazi Sadia Islam Roza
অবসরে বই পড়ে সময় কাটানোর থেকে দারুন কোন কাজ আর নেই। আর এই পরিস্থিতিতে বই পড়া সময় কাটানোর শ্রেষ্ঠ উপায়। বই পড়তে যারা ভালোবাসেন তারা বইয়ের যত্ন নিয়েও বেশ সচেতন। বইয়ের পাতায় ভাজ পড়লে বই প্রেমিকদের কপালেও ভাজ পড়ে। আর ‘বুকমার্ক’-এর চেয়ে ভালো কোন সমাধান নেই বই-কে ভাজহীন রাখতে। বুকমার্ক যেমন নিজের জন্য প্রয়োজন, উপহার হিসাবেও এর জুড়ি নেই। ঘরে বসে খুব সহজেই বুকমার্ক বানিয়ে উপহার দিতে পারেন প্রিয় কাউকে। সাধারন কাগজের একটি টুকরো-কে কতটা আকর্ষনীয় করে আপনি তৈরি করতে চাচ্ছেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ ও স্কিলের উপর নির্ভর করছে। চলুন দেখা যাক দারুণ কিছু বুকমার্কের আইডিয়া।
১। রঙিন কাগজ/ সাধারন একটু পুরু কাগজঃ যেকোন ধরনের পুরু কাগজই বুকমার্কের জন্য মানান-সই। সাদা কাগজ হলে সেটিকে রঙ-করতে পারেন ইচ্ছা মত আর কাগজ রঙিন হলে তাতে নকশার প্রাধান্য পাবে বেশি।
২। ওয়াশি টেপ/ রঙিন স্কচটেপঃ যে কোন স্টেশনারিতেই ওয়াশি টেপ অর্থাৎ নানা প্রিন্টের স্কচটেপ পাওয়া যায়, সাধারন ট্রান্সপারেন্ট স্কচটেপ ব্যবহার করলে সেক্ষেত্রে নকশার দায়িত্ব আপনার।
৩। কাঁচি: কাগজ কাটতে কাঁচি তো চাই-ই চাই, তাই না?
৪। যে কোন ধরনের রঙ: প্যাস্টেল, জল রঙ ইত্যাদি । আপনার যেমন রঙ পছন্দ তেমনটাই ব্যবহার করতে পারেন, কোন বাঁধা নেই।
৫। ছিদ্র করার যন্ত্র (অপশনাল): বুকমার্কের মাথায় ছিদ্র করে তাতে নানা ধরনের সুতো বাঁধতে পছন্দ করেন অনেকেই, এতে সহজেই বুকমার্কটি বইয়ের মাঝে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এই প্রক্রিয়াটি ছাড়া বানানো বুকমার্ক-ও একই ভাবে কার্যকারী। ৬। সুতো (অপশনাল)
‘বুকমার্ক’ তৈরিতে করা যায় নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট। পছন্দের নানা নকশা ও আকৃতিকে মাথায় রেখে বুকমার্ক তৈরি করা যায়। কাগজটি তবে নিজের মাপ মত কাটতে হবে, এঁকে নিতে হবে নকশা এরপর রঙ-এর প্রলেপ।
হাতের কাছে রঙ নেই, তবে কালির কলম দিয়েই হয়ে যাক আঁকিবুঁকি। লিখতে পারেন আপনার পছন্দের কবিতার বা গানের লাইন অথবা প্রিয় কোন উক্তি।
সব থেকে আকর্ষনীয় বুকমার্ক তৈরি করা যায় জলরঙ-এর ছোঁয়ায়। ছোট্ট ক্যানভাসে মনের গভীরতা ধরা দেয়, এঁকে বোঝানো যায় জলচ্ছবির কোন ভাবার্থ।
বুকমার্ক হিসবে অরিগামি’র ব্যবহারও দীর্ঘ পরিচিত। বইয়ের ভাজে নানা আকার- আকৃতির অরিগামি যেমন দেখতে ভালো লাগে, নিজের সৃজনশীলতা প্রকাশের জন্যও অরিগামি দারুণ মাধ্যম। শুধু কাগজ দিয়েই বানানো যায়, তাই প্রয়োজন হয় না এক্সট্রা কোন উপকরণেরও।
আর কিচ্ছু আঁকতে মন না চাইলে শুধু রঙিন ক্যানভাসও হতে পারে আপনার প্রিয় বইয়ের ‘বুকমার্ক’। টুকে রাখতে পারেন বইয়ের প্রিয় কোন বাক্য, লিখে দিতে পারেন ছোট কোন চিঠিও।
‘বুকমার্ক’ তৈরি করা কোন রকেট সাইন্স তো না, খুবই সহজ – সুন্দর- সৃজনশীল ভাবে নিজের পছন্দ ফুটিয়ে তোলার ছোট্ট আরেকটি মাধ্যম মাত্র। হাতের কাছে যা আছে তা দিয়ে সহজেই আপনি আপনার পছন্দের বুকমার্কটি যেমন বানাতে পারেন তেমনি উপহার হিসাবে এটি হয়ে উঠতে পারে চমৎকার।