স্টোর রুমের কোনে হয়ত এখনো পড়ে আছে শেষবার ব্যবহার করা রঙের সামান্য অংশ। রাখা আছে হয়ত ভবিষ্যতে কোন কাজে আসতে পারে, এই কথা ভেবে। কিন্তু কখনও আর কাজে লাগা হয়নি সে বেঁচে যাওয়া রঙের। না তুমি একা নও। অনেকেরই এই বেঁচে যাওয়া রঙের গল্প তোমার মতই। তোমাদের জন্যই আমাদের এই ‘নিজের মতো রঙ’ পরিলেখ।
অনন্যতা বা স্বকীয়তা সবার মধ্যে দেখা না গেলেও কিছু মধ্য বয়সী ছেলে মেয়েদের আচরণ ও বেশভূষায় সব সময় একটু আলাদা কিছু লক্ষ্য করা যায়। নিজ চশমাটিও সবার থেকে একটু আলাদা করতে কতই না চশমার দোকান ঘুরে তারা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, নিজের পুরনো চশমায় সামান্য একটু বেঁচে যাওয়া রঙের ছোঁয়ায় পুরো চশমার রেখাচিত্র বদলে ফেলা যায়। এর জন্য, বেঁচে যাওয়া রঙ ছাড়া দরকার শুধু তুলি আর একটু শৈল্পিক চিন্তা। নিজের মাথায় কোন নকশা না আসলেও তেমন সমস্যা নেই, আমাদের সবারই একজন আঁকা-আকিতে উৎসুক বন্ধু অথবা বান্ধুবি থাকে, তাদের সাহায্যেও সুন্দর নকশা করে নিতে পার।
ফ্রেমের কালো বা খয়রি অংশের উপর সাদা রঙের প্রলেপ দিয়ে তার উপর ভিন্ন ভিন্ন রঙের নকশা তৈরি করতে পার তোমার চশমায়। অন্যদিকে সাদা বা নিল ফ্রেমে কোন রঙের প্রলেপ ছারাই তৈরি করা যায় সুন্দর সুন্দর নকশা যা যে কারো নজর কাড়বে। যেকোনো উৎসবের থিম মাথায় রেখেও তৈরি করতে পার তোমার চশমার নতুন নকশা। যেমনঃ পহেলা বৈশাখের লাল-সাদা পোশাকের সাথে, লাল চশমায় সাদা নকশা অথবা অন্য যেকোনো রঙে সাদা প্রলেপ দিয়ে তার উপর লাল নকশা করে বের হয়ে যেতে পার যেকোনো অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে। একই ভাবে ফাল্গুনে বা বিয়ের হলুদে, চশমায় হলুদ রঙের নকশা করে এই উৎসব গুলোর থিম এর সাথে তোমার বহি:সজ্জা মিলিয়ে নিতে পার।
তো আর দেরি কেন, এখনি একা অথবা বন্ধুদের সাথে পুরনো রঙ নিয়ে বসে পরো, তোমার চশমায় কোন ভিন্ন নকশা তৈরির উদ্দেশ্যে। তোমার সৃজনশীল মনোভাব ফুটে উঠুক তোমার চশমার ভিন্নতায়।