এ যেনো এক লাল-সবুজের বাংলাদেশ - Berger Home Diaries
parallax background

এ যেনো এক লাল-সবুজের বাংলাদেশ

by Tasnim Jarin

বাংলাদেশ, লাল-সবুজের চিত্রপটে আঁকা একটি দেশ। হাজার মাইল দূর থেকে মানচিত্রের এদিক-ওদিক খুঁজে দেখুন, ঠিকই পেয়ে যাবেন লাল-সবুজের চাদরে মোড়ানো একটি ছোট্ট দেশ, নাম তার বাংলাদেশ। ছোট কী বড়, সবার মনের মাঝে এই নামটি যেনো  বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। আর হবেই বা না কেনো, এই নামটির সাথে যে জড়িয়ে রয়েছে তার পরিচয়, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এবং স্বাধীনতার গল্পগুলো।  স্বাধীনতার সাহসী সে গল্পগুলো দিনশেষে প্রকাশ পেয়েছে দুইটি রঙের মধ্য দিয়ে। যা কিনা শুধুই রঙ নয়; এ যেন সাহস আর তারুণ্যের প্রতিশ্রুতিতে আঁকা অনন্য এক চিত্র। নাম তার বাংলাদেশ।

বুকের মাঝে ধারণ করা এই প্রতিশ্রুতি যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই একটা অংশ। যা রঙ-তুলির ছোঁয়ায় এঁকে যায় কখনো আমাদের মনে, ঘরের দেয়ালে, আবার কখনো ক্যানভাসের পাতায়। তা কী আছে এই রঙ দুইটির মাঝে?

আছে সাহসিকতার এক অনন্য গল্প। আচ্ছা একবার ভাবুন তো, আপনার স্বপ্নের ঠিকানার সেই নীড়ে যদি লাল-সবুজের একটা বিশেষ জায়গা থাকে, তবে কেমন হয়? আমার তো মনে হয় এতে আপনার মনের স্বাধীনতার বহিঃপ্রকাশই হবে। হয়তো আপনি শব্দ দিয়ে কিছুই বলছেন না, কিন্তু তবুও প্রকাশ করে দিচ্ছেন না বলা হাজারো অনুভূতিকে, শুধুমাত্র সাহসিকতা আর তারুণ্যের লাল-সবুজের ছোঁয়ায়।

ধরুন, আপনার বসার ঘরের ডান বা বামদিকের দেয়ালটার জন্য আপনি বেছে নিলেন সবুজ রঙ। অকপটে সবুজ বর্ণের এই দেয়ালের ঠিক মাঝ বরাবর একটি লেকার রঙের শেলফ দেয়ালে এঁটে দিন। এবার এই শেলফের প্রথম, দ্বিতীয় তলায় রেখে দিন জাহানারা ইমামের “একাত্তরের দিনগুলি”, হুমায়ূন আহমেদের “জোছনা ও জননীর গল্প”, আনিসুল হকের “মা”, সৈয়দ শামসুল হকের “নিষিদ্ধ লোবান”-এর মতো বিশেষ কিছু বই।

মাঝের তাকে থাকুক প্রকৃতির ছোঁয়া, মানে ছোট ছোট কিছু গাছ। আর তার পরের তাকের জন্য বরাদ্দ থাকুক বাংলাদেশের একটি মানচিত্র, পাশে বাংলা বর্ণের কিছু অক্ষর, হতে পারে আপনার এবং আপনার প্রিয় মানুষের নামের আদ্যক্ষর।

চাইলে দেয়াল জুড়ে কৃষ্ণচূড়ার লাল দিয়ে ফুলের কিছু ইলিউশন করে নিতে পারেন। দেয়ালের অপর পাশে যদি কোন জানালা থাকে বা আলোর ব্যবস্থা থাকে, তবে সেখানে সাদা রঙের নেটের পর্দা ঝুলিয়ে দিন দেখতে দারুণ দেখাবে।

এবার সবুজ দেয়ালের কর্নারের জন্য বেছে নিন একটা ডাবল সিটের সোফা কিংবা স্টুডিও কাউচ, রঙটা হওয়া চাই লাল। ভাবছেন লাল কেমন দেখাবে? এটাই তো আপনার স্বাধীনতার সাহসী প্রকাশ। লাল রঙের সোফার একপাশে থাকুক একটি পাতাবাহার গাছ, আর অন্যপাশে লম্বা একটি ল্যাম্প।

দিনের আলোয় দূর থেকে একবার এই দেয়ালের দিকে তাকিয়েই দেখুন না, এ যেনো  এক টুকরো বাংলাদেশ। অথবা সন্ধ্যা নামার কিছু পরে নিয়ন আলোর এই ঘরটির দিকে তাকিয়ে দেখুন, সবুজ দেয়ালটি যেন বাংলাদেশের কথা বলছে।

আপনি চাইলে সবুজ ফেব্রিকের সোফার গদিও ব্যবহার করতে পারেন। কুশন হিসেবে বেছে নিন লাল রঙ। এক্ষেত্রে ঘরটির জন্য বেছে নিন কাঠের কিংবা লেকারের আসবাব। এছাড়া দেয়ালের সবুজ রঙের সাথে সাদা ফেব্রিকের সোফা রেখে তার মধ্যে লাল রঙের কুশনও রাখতে পারেন।

আর তাই বলতেই হয়, প্রতিটি রঙের-ই যে থাকে নিজস্ব এক ভাষা। সেখানে এই লাল-সবুজ যে শুধুমাত্র রঙ নয়, এ যেন লাল-সবুজের ক্যানভাস। যেখানে দেশপ্রেম আর ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছে নতুন এক ঠিকানা, যেখানে স্বাধীনতার বহিঃপ্রকাশ হয়েছে লাল-সবুজের পরিচয়ে।   

  •  
  •  
  •  
  •   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *